লেখাটি অন্ধ লিনাক্স ফ্যানদের জন্য উৎসর্গকৃত 🙂
শ্রদ্ধেয় শামীম ভাই অনেকদিন আগে সচলায়তনে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন : লিনাক্স পুরা ফালতু – ব্যবহার করে দিনকে দিন হতাশ হচ্ছি । চমৎকার লেখনীতে তিনি উইন্ডোজের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন আর তুলনা করেছিলেন লিনাক্সের সাথে । পোস্টটি নিঃসন্দেহে সুখপাঠ্য ছিল । আজকে আমার এই ব্লগ পোস্টের শিরোনাম শামীম ভাইয়ের লেখার সাথে অনেকখানি মিলে যায় তাই প্রথমেই তাকে স্মরণ করলাম ।
আমি Ubuntu 6.06 LTS ব্যবহারের মধ্য দিয়ে প্রথম উবুন্টু এবং লিনাক্স ব্যবহার করি । হার্ডওয়্যার ইনকম্পাটিবিলিটির কারণে সে যাত্রা অভিজ্ঞতাটা খুব সুখের ছিল না । Ubuntu 8.04 থেকে লিনাক্সের লিমিটেশন মেনে নিয়েই উবুন্টু ব্যবহার করছি । Ubuntu 8.10, 9.04, 9.10, 10.04, 10.10 এবং 11.04 এই প্রত্যেকটা ভার্সনই আমি কমপক্ষে ১ মাস এবং বেশিরভাগ সময়ই ৩-৬ মাস ব্যবহার করেছি । এ সময়ে আমি ইচ্ছা অনিচ্ছায় প্রচুর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি । কিন্তু কিছুদিন যাবৎ আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করছি যেটাকে লিনাক্স ব্যবহারকারীরা ব্যাঙ্গ করে “সপ্তম জানালা” বলে থাকেন । গত ৫-৬ মাস ব্যবহার করেই বুঝেছি এই জিনিস চূড়ান্ত ফালতু, যতই দিন যাচ্ছে আরো হতাশ হচ্ছি ।
প্রথমেই বলি ড্রাইভারের কথা । আমার ওয়াইফাই লিনাক্সে পেত না । কত গুতাগুতি করে এই সাইটে ঐ সাইটে ঘুরে কেরামতি করে একটা ড্রাইভার ইনস্টল করছিলাম । কাউকে জিজ্ঞাসা করলে বলে এটা ড্রাইভার ম্যানুফাকচারের প্রবলেম, তাদের বল লিনাক্সের জন্য ড্রাইভার বানাইতে । যেখান থেকে ল্যাপটপ কিনলাম তাদের মারলাম ঝাড়ি, লিনাক্সের জন্য কেন ড্রাইভার নাই । তারা মুখ কাচু মাচু করে বলল এই জিনিসের নামই শোনে নি তারা। তারা আমাকে বুঝাতে চাইল যে অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারী কম তার জন্যে ড্রাইভার বানাতে এবং মেইনটেইন করতে যে খরচ হবে তার তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিতান্তই নগন্য । যাই হোক এইসব অযৌক্তিক কথা শোনার টাইম ছিল না । এখানে সেখানে ঘুরে একটার পর একটা ড্রাইভার নামায়ে নামায়ে টেস্ট করতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত একটা ড্রাইভারে কাজ হল । আমার তখন মনে হচ্ছিল এভারেস্ট জয় করে ফেলছি । একটু পরেই দেখি বিধি বাম, ওয়াইফাই কানেক্টেড বাট ডাটা ট্রান্সফার হচ্ছে না । আজও এই প্রব্লেম এর সলিউশন পাইনাই । ড্রাইভার নিয়ে এই ভয় থেকে উইন্ডোজ সেটাপ দিলাম দুরু দুরু বুকে । আমার কাছে সিডিতে উইন্ডোজের ড্রাইভার ছিল, সেটাও গেছে হারিয়ে । ভাবলাম আবারো গুতাগুতি করা লাগবে, এটলিস্ট ম্যানুফ্যাকচারের ওয়েবসাইটে গাদা গাদা ড্রাইভার থেকে আমারটা খুজে নেওয়া লাগবে । কিন্তু উইন্ডোজ আমাকে হতাশ করল । শালার মাইক্রোসফট দেখি উইন্ডোজ আপডেটের সাথে সাথে আমার ওয়াইফাই ড্রাইভার দিয়ে দিছে। আমার রণ প্রস্তুতি বৃথাই গেল । 🙁
ড্রাইভার চুলোয় যাক, ভাবলাম ভাইরাস নিয়ে এবার একটা যুদ্ধ হবেই হবে । ওমা, মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস নামে এক ঘোড়ার ডিম আছে, এই জিনিস ইন্সটল দিতেই আমার হার্ডডিস্কের কোণা কানা থেকে ভাইরাস টেনে টেনে বের করে আনল তারপর আমি কিছু বুঝার আগেই সেগুলো হাওয়া! হায় হায়, আমি তো জানতাম উইন্ডোজ মানেই ভাইরাসের সাথে ক্যানন ফাইট। এইটা কি হইল ? 😮 এইটা মাইক্রোসফটরে ফ্রি দিতে কে কইছিল? আজাইরা আকাম!
এরপরে আমার নতুন কেনা নোকিয়া ফোনটারে ব্লুটুথ দিয়া লাগাইলাম। একগাদা সার্ভিস ইন্সটল হয়ে গেল । ফোনের গান পিসি থেকে বাজানো যায়, পিসির হেড ফোন দিয়ে কল দেওয়া যায়, সেই কল আবার রেকর্ডও করা যায় । আবার ইচ্ছামত এপিএন দিয়ে ইন্টারনেটে ঢোকাতো যায়ই, ফোনটারে নেটওয়ার্ক ডিভাইস হিসেবে চালানো যায় । আরো একগাদা জিনিস করা যায় যেগুলো লিনাক্সে ছিল না। লিনাক্সে তো আমার একটা ফাইল ট্রান্সফার করতেই কয়েকবার গুতাগুতি করা লাগত, ড্রাইভারের কথা নাই বা বললাম । একটা ফাইল ট্রান্সফার করেই নিজের বীরপুরুষ মনে হত। উইন্ডোজে দেখি ফোল্ডার সহ পাঠানো যায়, সাথে আবার এফটিপি দিয়ে ফোনের কন্টেন্ট ও ব্রাউজ (সাথে ডিলিট) ও করা যায় । না হতাশ হইলাম এই জানালা নিয়া!
লিনাক্সে টাচপ্যাড দিয়ে স্ক্রোল করা ছিল মারাত্বক রোমাঞ্চকর । উইন্ডোজে দেখি আমার টাচপ্যাডে লাল বাতি জ্বলে । লাল বাতি দেখে একটু এডভেঞ্চারের গন্ধ পাইছিলাম, পরে দেখি টাচপ্যাডের পাশের স্ক্রোলবার তো কাজ করেই সাথে মাল্টিটাচ, জুম আর রোটেশনও কাজ করে । ধুর! উইন্ডোজ নিজে নিজেই আপডেটের সাথে সিন্যাপ্টিক ইন্সটল করে দিছে ।
লিনাক্সে কত মজার মজার 2D গেইম খেলতাম । উইন্ডোজে দেখি সব 3D। গেইমের গ্রাফিক্স দেখে তো মাথা ঘুরায় । নাহ, লিনাক্সের গেইম গুলাই ভাল ছিলা, মাথা ব্যথা হইত না বেশিক্ষন খেললেও ।
আরো হতাশ হইলাম যখন দেখলাম এই জঘন্য জানালা উবুন্টুর চেয়ে ভাল পারফর্ম করছে আমার Celeron D 2GHz 1GB RAM ওয়ালা পিসিতে । উইন্ডোজ যেহেতু প্রোপারেটরি জিনিস, কোডেক পাইতেও সমস্যা নাই । সাধারণ কোডেকগুলো দেওয়াই থাকে, আমার গ্রামীণ ফোনের ডাটা আর খরচ হয় না। ঐগুলা জমায়ে তো আমার কোন লাভ নাই । হায়রে উইন্ডোজ! 🙁
এবার আসি পাইরেসীর ব্যাপারে। আমি যদিও ইউনিভার্সিটিতে সব বই ফটোকপি পড়ি তারপরেও যারা পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহারকারী ছিল তাদের কে “চোর” বললে নিজেরে কেমন সাধু সাধু মনে হইত । এখন সেই উপায়ও নাই । উইন্ডোজ সেভেন স্টার্টার এর দাম নাকি মাত্র ৪,০০০/= আর ইদানীং নেটবুক, নোটবুক এইগুলানের সাথে জেনুইন উইন্ডোজ দিচ্ছে । শুধু তাই হইলে তো হইছিল । ছাত্র ছাত্রীদের এক গাদা টুলস ফ্রি দিচ্ছে মাইক্রোসফট । মাঝখানে শুনলাম স্মলবিজনেস ওয়ালাদের জন্যেও নাকি ফ্রি দিচ্ছে এগুলো । যারা আলো আসবেই সাইটে মেম্বার তারাও ফ্রী পাইতেছে । চোর কইয়াও শান্তি নাই! 🙁
লিনাক্সে কমান্ড বা প্যাকেজের নাম মুখস্ত করে ঝেড়ে দিলেই চলে । কোন দিকে তাকানো লাগে না। কোন নেক্সট নেক্সট করা লাগেনা । আমার ধারণাও হয়না কিভাবে কি ইন্সটল হচ্ছে, কোথায় কি ইন্সটল হচ্ছে । উইন্ডোজে আবার এইগুলো একটু বেশী হয়, সবকিছু জেনে বুঝে নেক্সট বাটন চাপা লাগে । এত জানা বোঝার টাইম কই?
লিনাক্সে কিছু না পারলে এখানে খোজ, ওখানে খোজ । এই কমান্ডের আউটপুট দাও, ঐটার স্ক্রীনশট দাও, কেউ বলবে “hal” ইন্সটল কর, কেউ আবার সেটা নিয়ে হাসাহাসি করবে । এই ফোরামে যাও, ঐ ফোরামে যাও, মাঝে মাঝে ব্যান খাও কিংবা হ্যাক হওয়া ফোরামের ফ্রন্ট পেইজে দুই এডমিনের বিনোদনমূলক ভিডিও দেখ — ব্যাপক মজা । উইন্ডোজে এর ছাই পাশও নাই । ম্যান্দা মারা । সাপোর্ট টিকেট সাবমিট কর । তারা সাপোর্ট দিয়ে দেবে । এইটা কোন কথা হল? কোন কোন গিকি গিকি ভাব নাই, লাইফটারে জীবন বানাইয়া দিল উইন্ডোজ । 🙁
লিনাক্সের কাস্টোমাইজড ডিভিডি আছে, তার আবার কোনটা কোনটা ৬০টাকা দিয়ে কিনে দেখা যায় কাজ করে না । তখন আবার সেইগুলা ফেরত দেওয়া, বিনিময়ে আবার নতুন ডিভিডি নেওয়া । মাঝে মাঝে মেলা হয়, আড্ডা হয় । সেইগুলো কোনটা কার ইভেন্ট ছিল, কোনটা কার ইভেন্ট ছিল না সেইটা নিয়ে টুইটার গরম থাকে । ফোরাম কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্পন্সর লিস্টে নাম ঢুকায় দেওয়ায় আবার দুই পক্ষের কথা বার্তায় ফোরাম গরম হয় । এইগুলা সবই লিনাক্সের ভ্যালু এডিশন হিসেবে বিবেচনা করা যেত । একটা আকর্ষনীয় অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ব্যাপক বিনোদন । উইন্ডোজে আমি স্টীভ বালমারের সেই নাচের ভিডিও ছাড়া এরকম কোন বিনোদন পাই নি । শেইম!
লিনাক্সে আবার মাঝে মাঝে সিস্টেম আপডেট দিলে ম্যানুয়ালি ইন্সটল করা ড্রাইভারগুলো মুছে যেত । আবার সেগুলো নিয়ে মাতামাতি গুতাগুতি করতাম । উইন্ডোজে আপডেটের পর আপডেট দেই, কিচ্ছু ভাঙ্গে না । 🙁
এতদিন উইন্ডোজ ব্যবহার করে আশায় আশায় ছিলাম ব্লু স্ক্রীন অব ডেথ দেখব উবুন্টু যেমন মাঝে মাঝেই চুপ হয়ে যায় আমারে কিছু না বলেই সেরকম কিছু দেখব। জানালা আমাকে হতাশ করেছে । মোটামুটি সব ওপেনসোর্স সফটওয়্যারই উইন্ডোজের জন্য আছে । তাই ক্রাক করার থ্রিলটাও নাই ।
আর কি বলব । এরকম হাজারটা কারণ দেখানো যায় যার কারণে উইন্ডোজ আমাকে প্রতিনিয়ত হতাশ করে চলছে । শেইম অন মাইক্রোসফট, শেইম অন উইন্ডোজ ডেভেলপারস এন্ড ইউজার্স! শেইম! 😀
38 replies on “উইন্ডোজ পুরা ফালতু – ব্যবহার করে দিনকে দিন হতাশ হচ্ছি”
=)))) =)))))
>লিনাক্সে কত মজার মজার 2D গেইম খেলতাম । উইন্ডোজে দেখি সব 3D। গেইমের গ্রাফিক্স দেখে তো মাথা ঘুরায় । নাহ, লিনাক্সের গেইম গুলাই ভাল ছিলা, মাথা ব্যথা হইত না বেশিক্ষন খেললেও ।
হ, একবার আমার DMC 3 খেইলা ৩-৪ ঘন্টা মরার মত বিছানায় পইড়া থাকা লাগছিলো, মাথা পুরাই আউট কইরা দিছিলো। কি ভয়ানক !!
>উইন্ডোজ যেহেতু প্রোপারেটরি জিনিস, কোডেক পাইতেও সমস্যা নাই । সাধারণ কোডেকগুলো দেওয়াই থাকে, আমার গ্রামীণ ফোনের ডাটা আর খরচ হয় না। ঐগুলা জমায়ে তো আমার কোন লাভ নাই ।
হেইডাই, ডাটা জমায়ে রেখে কি করবেন ? জমিয়ে রাখার স্বভাবটাই খ্রাপ, হাদিস না কোরানে কইজানি আছে মানুষজন লোভ কইরা মধু জমায় রাখতে শুরু করছিলো,তারপরই আল্লাহ’র গজব এসে বাতাসে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া’র উৎপত্তি হয়। দেখেন জমিয়ে রাখার জন্য মানবজাতীর কত বড় ক্ষতি হইছে। কাজেই কিছুই জমায় রাখবেন না, তারাতারি সব ডাটা শেষ করেন। হার্ডডিস্কে জায়গা শেষ হইয়া গেলে সব ডাউনলোড করে /dev/null এ পাঠায় দেন।
>লিনাক্সে কিছু না পারলে এখানে খোজ, ওখানে খোজ । এই কমান্ডের আউটপুট দাও, ঐটার স্ক্রীনশট দাও, কেউ বলবে “hal” ইন্সটল কর, কেউ আবার সেটা নিয়ে হাসাহাসি করবে ।
হ, কত থ্রিল আর বিনুদুনই বিনুদুন।
>এই ফোরামে যাও, ঐ ফোরামে যাও, মাঝে মাঝে ব্যান খাও কিংবা হ্যাক হওয়া ফোরামের ফ্রন্ট পেইজে দুই এডমিনের বিনোদনমূলক ভিডিও দেখ — ব্যাপক মজা
হ, ব্যান না থাইতে পেরে দেশের পোলাপানের পুষ্টিজনিত রোগ দেখা দিতেছে, দেশে খাবার নাই। আফসুস।
বিনুদুন মুলক ভুডুও দেখ না পেয়ে মানুষজন হাসতে পারতেছে না, হাসি হার্টের জন্য ভালো, কিন্তু না হাসতে পেরে দেশের মানুষজন হৃদরোগে ভুগতেছে। কি অমানুষিক !!!
হ, এই জন্যে আমাদের লিনাক্সে ফেরত যাওয়া উচিত । নাইলে পোলাপাইনের উন্নতি হইব না । 😛
মাসনুন ভাই রকস….
ফাটাই দিলেন ভাই…..
লায়ন আর কিউবি মডেম এর কারনে এখন আমি লিনআক্স ব্যবহার করা হয় না 🙂 ভাবছি ম্যাক চালামু 🙂
গুতাইয়া দেখি…..
ক্যারি অন…
হেহে … মাসনুন ভাই! দারুণ এক লেখা লিখছেন! আসলেই শেম অন উইন্ডোজ! কোনই থ্রিল নাই! 🙁 কত সুন্দর ইন্সটলের সময় এটিআই, এনভিডিয়া’র ড্রাইভার ইন্সটল করে নেয়! তারপর আবার অটোমেটিক্যালি এ্যারো ইফেক্ট দিয়ে দেয়! এইডা কোন কথা হল? :@
উবুন্টু ইন্সটল করুম! ইউনিটি’র লগইন স্ক্রিন হ্যাং করবে…তারপর ক্লাসিক মোডে যেয়ে কয়েকটা কমান্ড চালায়ে ম্যাক আইপি চেন্জ করা লাগবে। তারপর আবার কানেক্ট করে ফোরাম গুতোগুতি, ২০০/৩০০ মেগা ডাউনলোড করে সম্পূর্ণ বিফল হয়ে নতুন উদ্যোমে শুরু করার সেই যে থ্রিল!
ওহহ…শেম অন উইন্ডোজ!!!
অ.ট. আমার ঠিকানা…, রংমহল ও প্রজন্মে পাবলিশ করার অনুমতি চাইছি। 🙂
টুইটারে অনুমতি দিয়েছি ।
ড্রাইভার চুলোয় যাক, ভাবলাম ভাইরাস নিয়ে এবার একটা যুদ্ধ হবেই হবে । ওমা, মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস নামে এক ঘোড়ার ডিম আছে, এই জিনিস ইন্সটল দিতেই আমার হার্ডডিস্কের কোণা কানা থেকে ভাইরাস টেনে টেনে বের করে আনল তারপর আমি কিছু বুঝার আগেই সেগুলো হাওয়া! হায় হায়, আমি তো জানতাম উইন্ডোজ মানেই ভাইরাসের সাথে ক্যানন ফাইট। এইটা কি হইল ? :o এইটা মাইক্রোসফটরে ফ্রি দিতে কে কইছিল? আজাইরা আকাম!
একখান জিনিস বটে :)
লাইফটারে জীবন বানাইয়া দিল উইন্ডোজ!!! 😀
পুরাই শেইম!
আপনি দুই দুইবার এমভিপি, আপনের উপর ডাবল শেইম! 😛
কেন যে আপনার এরকম ফালতু জিনিস নিয়ে কাজ করেন 😛
এটার প্রয়োজন ছিলো। লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 😀
আরো অনেক আছে-
১. উইন্ডোজে আমার ইন্টেল ৯১৫জিএভি মাদারবোর্ডের বিল্টইন রিয়েলটেক সাউন্ডকার্ডে ৫.১ চ্যানেল উপভোগ করার পর উবুন্টুতে গিয়ে দেখি শুধু স্টেরিও পায়। তারপর ম্যানুয়ালই ড্রাইভার ইন্সটল দিয়ে দেখি সাউন্ড হাওয়া। তারপর ড্রাইভার আনইন্সটল করে দেখি ডিফল্ট ড্রাইভারে ফেরৎ যেতে পারছি না। কি এক্সাইটমেন্ট! দিনরাত পিছনে লেগে থাকার পর ফলাফল লিনাক্স পার্টিশনটা ফর্ম্যাট মারা।
২. অফলাইনে ভাইপ্রেস ল্যানচ্যাটের ক্লোন ইন্সটল করতে গিয়ে কিউটি জনিত জটিলতা। ১ সপ্তাহ সময় নষ্ট। ফলাফল শূন্য।
৩. ১১.০৪ এ কম্পিজের ডেস্কটপ কিউব আর উবলি উইন্ডো চালু করতে গিয়ে ইউনিটি ক্র্যাশ খেয়ে গিয়েছিলো। lol.
এইরকম আরো বহু মজার মজার অভিজ্ঞতা! এর তুলনায় উইন্ডোজ একে বারেই পানসে।
উইন্ডোজ কোন অপারেটিং সিস্টেম হইল? কোন মজা নাই!
Windows is the ONLY OS who gives you 5.1 (or higher) sound flavor on analog devices. Else you need digital devices 🙁
I miss mint 7. It had 5.1 channel support for built-in sound card of my old PC.
শ্লার উবুন্টুর জন্য আমার ব্লগটা বাশ খাইসে। এখন নতুন উদ্যমে রিবিল্ড করবো। এক্সাইটমেন্টে পেট জ্বলতেসে। মেন্দামারা উইন্ডোজ ইউজানোর এর সময় এমন থ্রিল পাইনি।
I think you went through many pains, It’s time for you to try this one: http://to.ly/aCr1 Enjoy another pain in the a..
The URL looks invalid :-s
Please try: http://tonymacx86.blogspot.com or http://to.ly/aCrb
না ভাই……আসলে লিনাক্সই ফালতু……সব কিছু মাগনা…আর হাতের কাছেই দিয়া দেয়……
কিন্তু ভাই …. আমার একটা কথা আছে……
উইন্ডোজের বিশিষ্ট গেইমওয়ালারা যে এতো কথা বলছেন…… কয়জন আছেন যে, পকেটের টাকা খরচ করে গেইমগুলো কিনেন……???? হাতে গোনা দু একজন ছাড়া বাকি সবাই ই দু’নম্বরি করেন……
পকেটে টাকা থাকলে সব ভাবেই ফুটানি করা যায়….. আর না থাকলে….??? চিন্তা কি….. চুরি ছ্যাঁচড়ামির রাস্তা তো খোলাই আছে…..
একটা কথা জাইনা রাইখেন….. গুগলের মত কোম্পানি জানালারে বাদ দিয়া এমনি এমনি উবুন্টুরে তাদের অফিসিয়াল সিস্টেম হিসেবে বাইছা লয় নাই…… পিছনে কারণ অবশ্যই আছে…..
আর একখান কথা, ‘মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস’ যদি এতোই কামের হইবো…… তাহলে মাইক্রোসফট তাদের বিং সার্ভার লিনাক্স প্লাটফর্মে কোন দুঃখে চালায় বুঝি না…….
ভাই আমিতো উইন্ডোজে গেইম খেলতে নিষেধ করলাম । বড় কথা বলছি বলে তো মনে পড়ে না । আমি গেম খেলিনা। কিন্তু একটা জেনুইন গেমের দাম কি একটা সেল ফোনের চেয়ে বেশী?
গুগল তাদের অফিসিয়াল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে নিজেদের মত করে লিনাক্স কাস্টোমাইজড করে নিয়েছে । আর তারা উইন্ডোজকে এমন সময় বাদ দিয়েছে যখন তাদের নিজেদের একটি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে । গুগল ভাল করেই জানে, ম্যাক তাদের প্রতিপক্ষ না, ওএস মার্কেটে তাদের প্রতিপক্ষ উইন্ডোজ । এরপরেও যদি কেউ না বোঝে গুগল কেন ঐ ডিসিশন নিয়েছিল তাহলে আর কিছুই বলার নাই । এতদিন উইন্ডোজে প্রবলেম হয় নাই গুগলের? আফসোস!
বিং সার্ভার লিনাক্সএ চালায়? কোনদিন গুগলে একটু খুজে দেখছেন এটা সত্যি না মিথ্যা? একটু খোজ নিন নিজে । যদি প্রমান পান একটু শেয়ার করবেন, জেনে নিব ব্যাপারটা।
উইন্ডোজ আর লিনাক্স দুইটা ও এস নিয়ে মারামারি যেন ঐতিহাসিক 😀
উইন্ডোজ এর সাপোর্ট বেশী হবার কারণ এটি কমার্শিয়াল প্রোডাক্ট। যারা প্রোডাক্ট বানায় তাদের লক্ষ্যই থাকবে মার্কেট পেনিট্রেশন, সেইটাই স্বাভাবিক। এই জন্যেই উইন্ডোজ এর ড্রাইভার পাওয়া খুব সহজ। সাধারন ব্যবহার কারীকে টার্গেট করে বানানো উইন্ডোজ ব্যবহারে সহজ হবে, এইটাই স্বাভাবিক 😀
এই বার আসি লিনাক্স এ, টেকনিকালি লিনাক্স বস সিস্টেম, কিন্তু ব্যবহার করতে গেলে খবর আছে। কারন হার্ডওয়্যার ডেভেলোপাররা লিনাক্স এর ড্রাইভার এর দিকে গুরুত্ব দেয় না (যার কারন স্বাভাবিক :D)। যারা এম্বেডেড ডেভেলোপমেন্ট এ আছেন তারা জানেন, ডেস্কটপ এ যেমন উইন্ডোজ বস, তেমনি এম্বেডেড এ লিনাক্স বস। কারন এম্বেডেড এ লিনাক্স এর সাপোর্ট বেশী 😀 ।
ম্যাক আর লিনাক্স প্রায় একই জিনিস (ইউনিক্স এর মড)। কিন্তু ম্যাক এর সাপোর্ট কিন্তু উইন্ডোজ পর্যায়ের।
তাই এই দুইটি প্রতিষ্ঠিত ও এস নিয়ে মারামারি করার কোন কারণ নেই, যার যেইটা পছন্দ সেইটা চালানোই উচিত।
বিঃদ্রঃ এ লেখার কারণ হচ্ছে, আমাদের টেন্ডেসি হচ্ছে লেজ কাটানো। যেইটা আমাদের বন্ধ করা উচিত 😀
চমৎকার বলেছেন । আমিও মারামারি করার বিপক্ষে ছিলাম । আমি নিজেও উইন্ডোজের সাথে ফেডোরা ব্যবহার করি । কিন্তু মাঝে মাঝে লিনাক্স ফ্যানরা এমন ভাবে বলে মনে হয় লিনাক্সের কোন ত্রুটি নাই, উইন্ডোজেই শুধু প্রবলেম । আমার লেখার শুরুতেই আমি বলে দিয়েছি এই লেখার টার্গেট কারা ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মাসনুন ভাই
কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। মাঠ আবার লিনাক্স বনাম উইন্ডোজ নিয়ে গরম হল।
উইন্ডোজ ৭ এ আপনার ভাইরাস সমস্যা অনেক কম। কিন্তু অনেকেই আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন অলরেডি। দিন যতই যাবে এর পরিমান ও বাড়তে থাকবে। তাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারিনা উইন্ডোজে।
উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার এ ঠিক একই সমস্যা। রিলিজ হওয়ার পর কিছুদিন ভাল থাকে। তারপর আবার পুরনো রোগে ধরে। লিনাক্সে এই সমস্যা আমি পাইনি। আমার ডেস্কটপে ডেবিয়ান লেনি ইনস্টল দেয়া ছিল প্রায় ২.৫ বছর আগে থেকেই। এখনও একই রকম পারফরম্যান্স। বর্তমানে স্কুইজে এ আপগ্রেড করেছি। কোন সমস্যা হয়নি। মাঝে উইন্ডোজ পার্টিশনের ভাইরাস ও মারি লিনাক্স থেকে। এভাস্ট এর এখন লিনাক্স এডিশন পাওয়া যায়। সেটা ইনস্টল করা আছে ডেবিয়ানে। যদিও ডেবিয়ানে কোন ভাইরাস সে পায় না কিন্তু ২/৩ মাস পরপর উইন্ডোজ পার্টিশনগুলিতে ঠিকই পাওয়া যায়। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত এন্টিভাইরাস এসেছে তার সবগুলিই কোন না কোন সময় ভাইরাসের কাছে হার মেনেছে। মাইক্রোসফটের এন্টিভাইরাসও এর ব্যতিক্রম নয়। এজন্য ইউনিক্স এর বিল্টইন সিকিউরিটির উপর ভরসা করতে ভাল লাগে। অন্যের উপর নির্ভর করলে তা একসময় ঠিকই টার্গেট এ্যাটাকের শিকার হয়।
যদিও উইন্ডোজ আছে আমার ল্যাপিতে ডেবিয়ানের পাশাপাশি কিন্তু ২% সময় উইন্ডোজ ব্যবহার করি। কারন একটাই নিরাপত্তাহীনতা। আমার নিজের একটি কাস্টোমাইজড সফটওয়্যার ও লিনাক্সে পোর্ট করার কাজ প্রায় শেষের পথে। এটি হয়ে গেলে হয়তো উইন্ডোজকে বিদায় জানাতে পারবো।
তবে গেম খেলার জন্য উইন্ডোজ ভাল প্লাটফর্ম। আর ল্যাপটপ কেনার সময় একটু ভাল ব্রান্ড কিনলে ড্রাইভার সমস্যা হয় না লিনাক্সে। আমার তোশিবা ল্যাপটপে ওয়াইফাই, অডিও, ভিডিও সবকিছু অটো ডিটেক্টেড ডেবিয়নে।
একটু এডভ্যান্সড লেভেলের কাজ যেমন ওয়েব সার্ভার, মেইল সার্ভার, প্রক্সি সার্ভার এগুলির জন্য নিঃসন্দেহে লিনাক্স ভাল প্লাটফর্ম। উইন্ডোজ গড়পড়তা ব্যবহারকারীদের জন্য ভাল যারা ঝামেলা করতে চায় না।
শেষ কথা- লিনাক্সের উপর লেখা বিদেশী কিছু বইয়ের কভারে একটা ছবি দেয়া থাকে- একজন মানুষ খুব তেজী একটা ঘোড়া/গরু বশ মানাতে চাইছে। ঘোড়াটা তাকে প্রায় ফেলে দেয়ার উপক্রম করেছে- ঠিক ওয়েস্টার্ন ছবির মত। কিন্তু একবার বশ মানলে তা প্রভুর জন্য সবচাইতে বিশ্বস্ত সেবা দিতে পারে। এজন্য কষ্ট করে হলেও তাকে বশ মানানো উচিত। তাতে ভবিষ্যতে লাভ অনেক।
ভাল থাকুন সেই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
চমৎকার লিখেছেন সুমন ভাই । একমত ।
ভাই একটু সচেতন থাকলে মানুষের পেনড্রাইভ ছাড়া আর কোথাও ভাইরাস পাবেন না।
“একটু এডভ্যান্সড লেভেলের কাজ যেমন ওয়েব সার্ভার, মেইল সার্ভার, প্রক্সি সার্ভার এগুলির জন্য নিঃসন্দেহে লিনাক্স ভাল প্লাটফর্ম। উইন্ডোজ গড়পড়তা ব্যবহারকারীদের জন্য ভাল যারা ঝামেলা করতে চায় না।”
একটা ছোট্ট সংশোধন, Microsoft Exchange এর নাম শুনেছেন বা Lotus Notes? পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী মেইল প্ল্যাটফর্ম 🙂 90% এর বেশী কর্পোরেট সেগুলি ব্যবহার করে এবং সেগুলি লিনাক্সে চলে না 🙁
Microsoft Exchange আমাদের অফিসেও ব্যবহার করে। আমি প্রায় মাসেই অভিযোগ জানাই এটি ফেলে লিনাক্স বেজড মেইল সার্ভার নেয়ার জন্য। প্রতিদিন মিনিমাম ৩০টা করে স্প্যাম পাই ইনবক্সে এবং সাথে বিখ্যাত .exe ফাইল। ক্লিক এন্ড গো দেন বি এটাকড।
বেশী ব্যবহারকারী হলেই কি সেটা মানসম্মত হয়? তাহলে উইন্ডোজই তো সেরা এবং এটা নিয়ে তর্ক করে কি লাভ? ভাল থাকুন সবাই এটা নিয়ে। ম্যাক, লিনাক্স, বিএসডি এগুলির নাম না জানলেই হল। যার প্রয়োজন নিরাপত্তার সেই একে খুজে নেবে।
কতগুলা ক্যাল কিনেছেন আপনারা এক্সচেঞ্জের? সাথে ফোরফ্রন্ট নাই?
আপনার ধারণা যারা চালায় তারা ঘাস খায়?
[…] […]
=)) ব্যাটারি বিষয় টা বাদ পড়ছে। :))
“লাইফটারে জীবন বানাইয়া দিল উইন্ডোজ” 🙂
বিয়াপক মজা পাইলুম!
মাসনূন ভাইয়ের লেখাটা সত্যিই চমতকার, তাই দু’একটা লাইন লিখে যাওয়া কর্তব্য মনে করছি।
মাঝে মাঝে মেলা হয়, আড্ডা হয় । সেইগুলো কোনটা কার ইভেন্ট ছিল, কোনটা কার ইভেন্ট ছিল না সেইটা নিয়ে টুইটার গরম থাকে । ফোরাম কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্পন্সর লিস্টে নাম ঢুকায় দেওয়ায় আবার দুই পক্ষের কথা বার্তায় ফোরাম গরম হয় । এইগুলা সবই লিনাক্সের ভ্যালু এডিশন হিসেবে বিবেচনা করা যেত । একটা আকর্ষনীয় অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ব্যাপক বিনোদন । উইন্ডোজে আমি স্টীভ বালমারের সেই নাচের ভিডিও ছাড়া এরকম কোন বিনোদন পাই নি । শেইম!
পুরাই শেইম। এই বিনোদনে আমি মোটামুটি মাঝে মাঝেই ভাগীদার হয়ে থাকতাম 🙂
“লাইফটারে জীবন বানাইয়া দিল উইন্ডোজ”
দারুণ বলিয়াছেন ভাইজান 🙂
অসাধারন লিখছেন!! খুবই ভালো লাগল পড়ে।
শেয়ার দিচ্ছি ঃ)
Thanks 🙂
লিনাক্স থাকুক লিনাক্স নিয়ে উইন্ডোজ থাক উইন্ডোজ নিয়ে। চিল্লা চিল্লি ভালো লাগে না 🙁
রাজনীতির গন্ধ লাগে।
😀 😀 ব্যাপক বিনুদুন পেলুম মাইরি।
OSX এর জন্য এরকম একটা লেখা হরে খারাপ হয় না. 😛